ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​অংশীদারত্ব চুক্তির দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ-ইইউ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ১২:২৬:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ০১:৩৯:৩০ অপরাহ্ন
​অংশীদারত্ব চুক্তির দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ-ইইউ ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) সইয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে দুই দিনের ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ইইউর সঙ্গে একটি বিস্তৃত সহযোগিতা কাঠামোয় যুক্ত হতে চলেছে।এর আগে গত এপ্রিল মাসে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা ইইউর সঙ্গে এমন একটি বিস্তৃত ও বাধ্যতামূলক কাঠামোর অংশীদার হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। ইইউর পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি। এবারের আলোচনার ধারাবাহিকতায় আগামী অক্টোবরে ঢাকায় তৃতীয় দফার বৈঠকে যোগ দিতে ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরো জানান, দুই দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই পক্ষ ৮৩টি ধারা-সংবলিত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা করবে। মূলত সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে চুক্তির ধারাগুলো চূড়ান্ত করার জন্য এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহত্তর এশিয়াকে বিবেচনায় নিলে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং কাজাখস্তানের সঙ্গে পিসিএ সই করেছে ইইউ। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর প্রস্তাবিত পিসিএতে সহযোগিতার অন্তত ৩৫টি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং কাজাখস্তানের সঙ্গে সই করা ইইউর পিসিএতে খাতের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩, ১৫ ও ১৯।প্রায় ২৫ বছর আগে ২০০১ সালে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি হয়েছিল, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল উন্নয়ন সহায়তা। নতুন পিসিএ চুক্তির মাধ্যমে সেই সম্পর্ককে আরো গভীর, বহুমাত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় দুই পক্ষ।

বাংলাস্কুপ/ প্রতিবেদক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ